-আজকের লালমাই ডেস্ক: লালমাই উপজেলার ভুশ্চি বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় ডিগ্রিবিহীন চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রতারণামূলকভাবে "ডা." পদবি ব্যবহার করার অভিযোগে মোছা: আছিয়া খাতুন (৪৩) নামে একজনকে ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো অনুমোদিত চিকিৎসা ডিগ্রি ছাড়াই সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, আছিয়া খাতুন এমবিবিএস কিংবা সমমানের কোনো চিকিৎসা শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেননি। এমনকি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BM&DC)-এ তার কোনো রেজিস্ট্রেশনও নেই। তবুও তিনি নামের আগে 'ডা.' লিখে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন এবং নানা রকম ওষুধ ও চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
এই অপরাধের জন্য তাকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণামূলকভাবে "ডা." পদবি ব্যবহার করে আর কোনো চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না—এই মর্মে তার কাছ থেকে একটি লিখিত মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রি খীসা। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন লালমাই উপজেলা আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহাদী এবং তার টিম, লালমাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা: সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম ও ভুশ্চি ফাঁড়ি পুলিশের সদস্যরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিমাদ্রি খীসা বলেন, “ভুয়া চিকিৎসক দ্বারা চিকিৎসা নেওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক ও বেআইনি। এমন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান থাকবে। কেউ যদি চিকিৎসা দিতে চান, তার অবশ্যই যথাযথ ডিগ্রি ও বৈধ রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে।”
সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযান জনস্বার্থে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সাধারণ মানুষ যেন প্রতারিত না হয় এবং ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সম্পাদক জিয়াউর রহমান কতৃক সম্পাদিত, মো ইমাম হোসাইন কতৃক প্রকাশিত, প্রধান সম্পাদক:- মোঃ নাছির আহাম্মেদ
অফিস: এইস প্লাজা বাগমারা বাজার,লালমাই, কুমিল্লা। মোবাইল:- +971502787328 ( WhatsApp)
www.ajker-lalmai.com