-কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সাধুর কলমিয়ায় এক মাদরাসা ছাত্রকে (১০) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের নানা বাদি হয়ে মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিমকে (২২) আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে গতকাল বুধবার বিকেলে আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃত মো. ইব্রাহিম লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের সাধুর কলমিয়া গ্রামস্থ তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার শিক্ষক ও ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার নুরপুর গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রদের বিশ্রামের সময় মাদরাসার শিক্ষক মো. ইব্রাহিম তাঁর শয়নকক্ষে ওই শিশুকে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। তিনি এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই শিশুকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখান। গত মঙ্গলবার বিকেলে শিশুটি মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি গিয়ে আত্মীয়স্বজনদের বলাৎকারের বিষয়ে অবগত করে। পরিবারের পক্ষ থেকে মাদরাসার প্রধান ক্বারী সাইফুল ইসলামকে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় ওইদিন রাতে স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ ঘটনায় শিশুটির নানা মীর হোসেন বাদি হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩-এর ৯ (১) ধারায় লালমাই থানায় মামলা রুজু করেন। বাবার মৃত্যুর পর মা দ্বিতীয় বিবাহ করায় শিশুটিকে তার নানা লালন-পালন করছেন।
বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান লেয়াকত হোসেন ভুঁইয়া বলেন, মাদরাসার নাজেরানা বিভাগের একজন এতিম শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের অভিযোগে স্থানীয়রা একজন শিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
আমি অভিযুক্ত শিক্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, মাদরাসা ছাত্রকে বলাৎকারের মামলায় একজন শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে।
সূত্র:- কালের কন্ঠ