লালমাইয়ে এক হিন্দু গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু; স্বামী পলাতক

-কুমিল্লার লালমাইয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে দ্রুবতী রানী দাস (২৫) নামে এক হিন্দু গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের মধ্যম জালগাঁও গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দ্রুবতী রানী দাস দেবীদ্বার উপজেলার ব্রাহ্মণখাড়া গ্রামের নিমাই চন্দ্র দাসের মেয়ে এবং সমির চন্দ্র দাসের স্ত্রী। তাদের ঘরে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

লালমাই থানার পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই নিহতের স্বামী সমির চন্দ্র দাস পলাতক রয়েছেন।

নিহতের পিতা নিমাই চন্দ্র দাস জানান, প্রায় আট বছর আগে দ্রুবতীর বিয়ে হয় জালগাঁও গ্রামের সুবল চন্দ্র দাসের ছেলে সমির চন্দ্র দাসের সঙ্গে। বিয়ের পর স্বামী দীর্ঘদিন দুবাইয়ে ছিলেন। ১০ দিন আগে দেশে ফেরার পর থেকেই মেয়ে দ্রুবতীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরও জানান,

> “শনিবার রাতে (৪ অক্টোবর) মেয়ের সাথে ফোনে কথা বললে সে বলে, স্বামী তাকে মারধর করছে। কিছুক্ষণ পর সে বলে, ‘ফোন রাখো, আবার আসতেছে’ — তারপরই কল কেটে যায়। রাত ১০টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় আমার মেয়ে নাকি স্ট্রোক করেছে। পরে শুনি, কেউ বলছে বিষ খেয়েছে, কেউ বলছে মারধর করে হত্যা করা হয়েছে। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্নও দেখা গেছে।”

নিমাই চন্দ্র দাসের দাবি, তার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এখন তারা ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন।

ভুশ্চি বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান বলেন,

> “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। উদ্ধারকালে গৃহবধূর মুখে দুর্গন্ধযুক্ত ফেনা দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে, তবে অভিযুক্ত স্বামী সমির চন্দ্র দাস এখনো পলাতক রয়েছেন।

     আরো পড়ুনঃ

পুরাতন খবর:

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১