( ফাইল ফটো)
-১৮ বছর বয়সী এক কিশোরীর সাথে শারিরিক সম্পর্কের জেরে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা করার অভিযোগ উঠেছে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কুমিল্লার লালমাইয়ের ভূলইন দক্ষিণের ছোট শরীফপুর এলাকার।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অন্তঃসত্ত্বা ওই কিশোরী বলেন, আমার বাবা-মা যখন কাজে চলে যেত তখন পাশের বাড়ির আলমগীর হোসেন বাবুল (৬০) আমাদের ঘরে আসতেন। বহুদিন ধরেই আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। যখন আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি তখন বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
পরবর্তীতে সামাজিকভাবে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমি আমার অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাই। আমার টাকার দরকার নেই। আমার স্বামীর স্বীকৃতি চাই।
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সামাজিকভাবে বিষয়টি সমাধানের স্বার্থে আমার বাবা এবং আমাকে ডাকে। তখন সেখানে আমি বিস্তারিত বলি এবং অন্তঃসত্ত্বা হওয়া আল্ট্রা রিপোর্ট দেখাই। আমাকে এক থেকে দেড় লাখ টাকার মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি অভিযোগ করে বলে, আমরা গরিব বলে কি মানসম্মান নাই? আমি বিয়ে চাই। মেয়েটি বিয়ে করতে চাইলেও সামাজিকতার আড়ালে টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। যে সন্তান দুনিয়াতে আসবে তার বাবার পরিচয় তো লাগবে। তাই আমরা বিয়ে ছাড়া আর কিছু চাই না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাবুলের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত বাবুলের ভাতিজা মাসুদ কালবেলাকে জানান, ঘটনার পর আমরা এটা সামাজিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করতেছি। আমরা মেয়ের পক্ষকে একটা অ্যামাউন্টও বলেছি।
‘মেয়ে তো টাকা চায় না। সে অনাগত সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায়’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়ে যদি সন্তানের পিতৃ পরিচয় চাইত তাহলে অ্যামাউন্ট দাবি করত না। আমরা গ্রামের সর্দারসহ বিষয়টি নিয়ে বসেছি। সেখানে মেয়ের পরিবার ৫ লাখ টাকা দাবি করেছে। আমরা বলেছি ২ লাখ টাকা দেব কিন্তু তারা মানছে না।
এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌমিতা দাস বলেন, এ বিষয়ে কেউ আমার কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সুত্র:- কালবেলা
আরো পড়ুনঃ