রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদঃ কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকন্ড পরিচালনা করে আসছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০সালের মার্চ মাসে স্থানীয় সরকার বিভাগ এক চিঠির মাধ্যমে নবসৃষ্ট লালমাই উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কার্যক্রমের নির্দেশনা প্রদান করে। গত ১৪ই মে উপ-প্রকৌশলী হিসেবে মোঃ সাইফুল ইসলাম যোগদানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক ভাবে লালমাই উপজেলায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কার্যক্রম শুরু করে। এর আগে লালমাই উপজেলা সদর দক্ষিণ উপজেলার আওতায় কার্যক্রম চলমান ছিল। বর্তমানে লালমাই উপজেলায়“ পল্লী অঞ্চলে নিরাপদ পানি সরবরাহ” প্রকল্পের আওতায় ১৫টি সাবসার্সিবল পাম্পযুক্ত নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। যা মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল,এমপির বিশেষ বরাদ্দের অনুকূলে পাওয়া যায়। পিইডিপি-৩, পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় লালমাই উপজেলার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৪৩টি ওয়াশব্লক স্থাপন করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প হতে ইতিমধ্যে সকল বিদ্যালয়কে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের আওতায় নেওয়ার কার্যক্রম খুব দ্রততার সাথে চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে লালমাই উপজেলায় ২টি হাত ধোঁয়ার বেসিন স্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিকে সাবান বিতরণ করা হচ্ছে, তাছাড়া উপজেলা প্রশাসনকে জীবানুনাশক ব্লিচিং পাউডার সরবরাহ করা হয়েছে। লালমাই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ২০১৮ এর আওতায় “আমার গ্রাম আমার শহর” অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে “সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি” প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে মোট ২৪৩টি পানির উৎস স্থাপন কাজের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। যথাসময়ে সাইট লিষ্ট না পাওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রত তালিকা পাওয়া যাবে। লালমাই উপজেলার সকল জনগণকে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের আওতায় নেওয়ার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অঙ্গীকারবদ্ধ ও সফলতার সাথে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আরো পড়ুনঃ