-মোঃনাছির আহাম্মেদ (লালমাই )
লালমাইয়ে পশুর চামড়ার বাজারের বেহাল দশা। আশানুরূপ দাম না ওঠায় এবার অনেক কোরবানীদাতা স্বল্পমূল্যে চামড়া বিক্রি না করে বিনামূল্যে দান করেছেন লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে। চামড়ার বাজারের ধস ঠেকাতে ধান সংগ্রহের মতো সরকারিভাবে চামড়া সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
শনিবার দুপুর ১২টার পর লালমাইয়ের গ্রামীণ জনপদে কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহকারীদের তৎপরতা শুরু হয়।
তবে অন্যান্য বছর প্রচুর সংখ্যক মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীর আবির্ভাব হলেও গতবছর লোকসানের কারণে এবার তাদের তেমন দেখা যায়নি।
কোরবানীদাতারা জানান, অন্যান্য বছর ১ হাজার টাকায় বিক্রিযোগ্য গরুর চামড়ার এবার সর্বোচ্চ দাম ছিলো ২শ টাকা এবং বড় গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৩শ টাকায়।
এর মধ্যেও কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী অস্বাভাবিক দামে চামড়া কিনে সদর দক্ষিনের লালমাই বাজারের অস্থায়ী চামাড়াপট্টিতে বিক্রি করতে গিয়ে লোকসানের শিকার হয়েছেন। দাম কম থাকায় অনেক কোরবানীদাতা এবার চামড়া বিক্রিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন।
তারা সওয়াবের আশায় বিভিন্ন মাদ্রাসা এবং লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে বিনামূল্যে চামড়া দান করেন কিন্তু চামড়ার দাম কম থাকায় এইবার অধিকাংশ মাদ্রাসা চামরা সংগ্রহ করেনি।
এদিকে চামড়ার বাজারের ধস ঠেকাতে সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহের মতো সরকারের কাছে পশুর চামড়া সংগ্রহের দাবি জানিয়েছেন লালমাইয়ের অস্থায়ী চামড়া ব্যবসায়ীরা।