-লালমাই উপজেলা গঠনের পর থেকে একের পর এক আলোচিত সমালোচিত ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে সাধারণ মানুষ!
এইবার ঘটেছে শিয়ালের কাছে মুরগী বর্গা দেয়ার মত ঘটনা,উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মাদক নির্মূল কমিটিতে এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী ট্রাক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম কে করা হয়েছে সভাপতি,আর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল হোসেন আবুকে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক।
চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে এই স্লোগানকে সামনে রেখে কুমিল্লা লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড (মান্দারী, দক্ষিণ জয়কামতা, দক্ষিণ ধনপুর, রাইপুর) মাদক নির্মূল কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দক্ষিণ জয়কামতা গ্রামের ট্রাক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলামকে সভাপতি, দক্ষিণ ধনপুর গ্রামের আবুল হোসেন আবু কে সাধারণ সম্পাদক ও রাইপুর গ্রামের সফি উল্লাহ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্যান্যরা হলেন সদস্য ইমরান হোসেন, বিসমিল্লাহ, মো. সেলিম, মো. ফয়সাল, মো. জামাল, অহিদুল ইসলাম নয়ন, জহিরুল ইসলাম, মো. জামান, নুরুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. মাসুদ, জুয়েল মাহমুদ, আলমগীর হোসেন, ইদু মিয়া, বাহার হোসেন, আবদুল জলিল, সাদ্দাম হোসেন, মো. বাবুল, আনোয়ার হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মিজানুর রহমান।
এই দিকে উপরোক্ত কমিটির মাদকাসক্ত সভাপতি ও চিহ্নিত মাদক কারবারিকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা নিয়ে এলাকায় হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মান্দারী চৌমুহনীর এক যুবক জানান ঘোষিত মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম এলাকার চিহ্নিত মাদক সেবী এবং সাধারণ সম্পাদক আবু আগে ইয়াবার ডিলার ছিলো।
অপর একটি সুত্র থেকে জানা যায়, আবুল হোসেন আবু একজন ইয়াবার ডিলার সে ২০১৮ সালে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ নাম দিয়ে যে অভিযান শুরু করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেই অভিযানের সময় বিদেশ পালিয়ে যায় পরবর্তীতে দেশে ফিরে পূনরায় ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে, এছাড়াও আবুল হোসেন আবুর বিরুদ্ধে লালমাই ও সদর দক্ষিণ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই বিষয়ে উক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আজকের লালমাইকে কোন উত্তর দেননি।
আরো পড়ুনঃ