-গতকাল ২৭ ডিসেম্বর বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বহু গ্রন্থপ্রণেতা, দার্শনিক, উপমহাদেশের কিংবদন্তি লেখক, গবেষক ও অনুবাদক মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতীর ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী।
অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় সাংবাদিকতা পেশায় থেকে পত্র-পত্রিকায় লেখনী, মূল্যবান গ্রন্থরচনা করে দেশ-জাতি ও ইসলামের সেবায় অনন্য ভূমিকা রাখেন মওলানা কিসমতী। তিনি বাংলাদেশ বেতার বহির্বিশ্ব কার্যক্রমের আরবি সংবাদ পাঠ-পর্যালোচক ও দৈনিক সংগ্রামের সিনিয়র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, বাংলা একাডেমির সদস্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশন সম্পাদনা পরিষদের সদস্য ও ফ্রাঙ্কলিন পাবলিকেশন্স প্রকাশিত প্রথম বাংলা বিশ্বকোষের অন্যতম প্রদায়ক ছিলেন।
আজাদী আন্দোলনে আলেম সমাজের সংগ্রামী ভূমিকা’, ‘চিন্তাধারা’, ‘বাংলাদেশের সংগ্রামী আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখ’, ‘এই সময় এই জীবন’, ‘মহানবী সা:’, ‘শহীদে কারবালা’, ‘আদর্শ কীভাবে প্রচার করতে হবে’, ‘আল কুরআনের দৃষ্টিতে সমাজসেবা’, ‘শরীয়তী রাষ্ট্রব্যবস্থা’, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নে মুসলমান’, ‘উপমহাদেশে ইসলামী শিক্ষা সংস্কৃতি ক্রমবিকাশের ইতিহাস’সহ ৩০টির বেশি মূল্যবান গ্রন্থরচনা ও অনুবাদ করেন তিনি। তার নিরলস কর্মের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আরবি বিভাগে ‘মাওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতী : আরবি ও বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক এক অভিসন্দর্ভ উপস্থাপিত হয়েছে।
দেশের এই গুণী ব্যক্তিত্ব মরহুম মওলানা জুলফিকার আহমদ কিসমতী ১৯৩৫ সালে কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার কিসমত চলুন্ডা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।তিনি গ্রামকে তাঁর নামে ধারন করেছেন।
২০১৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড হসপিটালে, কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জুলফিকার আহমদ কিসমতীর রূহের মাগফিরাত কামনায়, তার পরিবার,শুভাকাঙ্ক্ষী শুভানুধ্যায়ীর পক্ষ থেকে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
সূত্র:-[দৈনিক নয়া দিগন্ত,দৈনিক সংগ্রাম]