–আবুল কালাম মজুমদার(সিনিয়র সাংবাদিক)
লালমাই উপজেলা বেলঘর ইউনিয়ন তুলাতলি তালুকদার বাড়ীর আবদুল মালেক বিএসসির সন্তান মোহাম্মদ তসরুফ ইসলাম বয়স ২৭ খোঁজে আন্জুমান আরা বেগম বয়স ৪০ জনাব আবদুল মালেক বিএসসি লাংগলকোট উপজেলা সাংঙিশ্বর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত।
জানা যায় গত ৪ বছর আগে হাউজ টিউটর আন্জুমানের সন্তান পড়াতে গিয়ে উভয়ের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক হয় তারপর ফেসবুকে আলাপ আলোচনা। তারপর কোচিং সেন্টারে সময় কাটানো এভাবে ঘনিষ্টতা।আন্জুমান ২ সন্তানের জননী বড় সন্তান একাদশ শ্রেনীতে পড়েন ছোট ছেলে নবম শ্রেণির ছাএ।
এরিমধ্যে তসরুফ তখন উওরা জসিম উদ্দিনে একটা বায়িং হাউজে জয়েন্ট করেন। তারপর উভয়ই দেখা সাক্ষাৎ হতো তারপর প্রায়ই তসরুপে বাসায় যাতায়াত করতেন। এবং ২ বছর যাবত নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক হয়।
এর মধ্যে পরিবারে সম্পর্কের জানাজানি হলে স্বামী স্ত্রী মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। তসরুপ আন্জুমান কে বিয়ে আশ্বাস দিয়ে লিখিত দিলে এক পর্যায়ে স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রী তালাক নিয়ে নেন। তালাকের কিছু দিন পর তসরুপ আন্জুমানের সাথে আগের মত যোগাযোগ না করে এড়িয়ে যাওয়া চেষ্টা করে।
তারপর হঠাৎ তার ব্যবহারকৃত মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে দেন। আন্জুমান নিরুপায় হয়ে অবশেষে প্রেমিকের খোঁজে লালমাই উপজেলা বেলঘর ইউনিয়ন আসে তার অধিকার চায়। সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আন্জুমানের অসুস্থ মা বোনের সাথে মনমালিন্য সৃষ্টি হয় বর্তমানে আন্জুমান উওরায় একটি বাসায় সাবলেট থাকেন। প্রেমিক তসরুপের কথায় সংসার ভেংগে এখন অনেকটা অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছেন।
আন্জুমানের স্বামী তালাকের পরপরই সন্তান দের ভবিষ্যতে, থাকা খাওয়ার কথা চিন্তা করে পূনরায় বিয়ে করেন।
এই নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে জানাজানি হলে আব্দুল মালেক বিএসসি স্হানীয় ইউপি সদস্য সোহেল রানার সহ চেষ্টা করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যর্থ হয়ে ২দিনের সময় চেয়ে আন্জুমান কে সান্ত্বনা দিয়ে তসরুপের ছোট্ট ভাই সহ ঢাকা পাঠিয়ে দেন।
এরিমধ্যে গতকাল বুধবার রানা নামক এক রাজনৈতিক বড় ভাইয়ের উওরা ১৩নং সেক্টরে বাসায় ২ দপায় তসরুপ আন্জুমানের সাথে দেখা টাকা পয়সা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করতে চেষ্টা করেন সাথে ছিলেন রানা ও পলাশ নামে খালাতো ভাই ২জন চাচাতো ভাই সহ কিছু ভাড়াটে লোক জোর করে কাগজে না-দাবি সই করিয়ে নিতে চেষ্টা করেন এবং রাজি না হলে মাস্তান দিয়ে ধমক দেন বলে বিশস্ত সূএে জানা যায়। এ বিষয়ে আন্জুমান উওরা থানায় সাধারণ ডায়েরি জিডি করার প্রস্তুতি বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার সর্তে বেলঘরের একজন সর্দার বলেন এমন ঐতিহ্য বাহী পরিবার ও শিক্ষকের ছেলের শরীয়ত বিরোধী এমন অবৈধ সম্পর্ক খুবই দূঃখ জনক।
এ বিষয়ে আন্জুমান কে জানতে চাইলে বলেন আমি আমার অধিকার ফিরে পেতে চাই প্রয়োজনে তাদের বাড়িতে অবস্থান করবো।
তসরুপ কে ফোন করে পাওয়া যায়নি তসরুপের বাবা আবদুল মালেক বিএসসি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি মর্মাহত এর বেশি কিছু বলার নাই।
আরো পড়ুনঃ