-আজকের লালমাই ডেস্ক:-কুমিল্লার লালমাইয়ে চিপস কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একজন বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে ওই প্রতিবন্ধী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে দুজনের নাম উল্লেখ করে লালমাই থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের একটি নির্মীয়মাণ ভবনের লেবার রুমে এ ঘটনা ঘটে।
মামলায় উল্লেখিত আসামিরা হলেন- উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের পোহনকুচা গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর ও মৃত রজ্জব আলীর ছেলে বাহার মিয়া।
অভিযোগের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিবন্ধীর খালা আজকের লালমাইকে বলেন, ‘আমার বোনের মেয়ে শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশের রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার পরে বাড়ি থেকে বের হলে জাহাঙ্গীর তাকে সড়কের পাশের দুলালের দোকানে নিয়ে চিপস কিনে দেন। পরে তাকে একটি নির্মীয়মাণ ভবনের লেবার রুমে নিয়ে যান।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরে আমি সকাল ৮টায় ওই লেবার রুমে গিয়ে দেখি জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া প্রতিবন্ধীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করছেন। অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে আমি বাহার মিয়াকে চড়-থাপ্পড় দিই। তখন উলঙ্গ অবস্থায় জাহাঙ্গীর ও বাহার মিয়া পালিয়ে যান।
লালমাই থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, ‘প্রতিবন্ধী তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। মামলার ১ নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভুক্তভোগীকে মেডিক্যাল চেকআপের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
আরো পড়ুনঃ