লালমাই উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে এক সভাপতি প্রার্থীকে অপহরণ করে অন্য প্রার্থীকে সভাপতি ঘোষণা করার অভিযোগ করেছেন শাহজাহান মজুমদার।
লালমাই উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে শাহজাহান মজুমদার নামে একজন সভাপতিকে সম্মেলন স্থল থেকে অপহরণ করে অন্য সভাপতি প্রার্থী মাসুদ করিম মাসুদকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় সভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগঞ্জ টিএ হাই স্কুল এন্ড কলেজ মাঠের সম্মেলনে এই ঘটনা ঘটে।
শাহজাহান মজুমদারের অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় অপহরণকারীরা সম্মেলনস্থল থেকে সভাপতি প্রার্থী ও তার প্রস্তাবকারী গোলাম আজম মজুমদার শাহ পরানকে মারধর করে সিএনজি-মোটরসাইকেলযোগে সদর দক্ষিণ উপজেলার পরানপুর এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে সভাপতিকে একদিকে নেওয়া হয় এবং প্রস্তাবকারীকে বাগমারা বাজারে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বিষয়টি জানাজানি হলে অপহরণের সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শাহজাহানকে বাগমারা উত্তর বাজারস্থ সততা ফার্নিচারের সামনে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে তার সমর্থকরা তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
মুক্তির পর সভাপতি প্রার্থী শাহজাহান মজুমদার স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, “আমাকে ভোটে পরাজিত করতে পারবে না জেনে আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী মাসুদ করিম মাসুদের সমর্থিত মহসিন মজুমদার ও ভুলইন দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিনের নেতৃত্বে যুবদল-ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী আমাকে সম্মেলন স্থল থেকে অপহরণ করে পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রাখে। অপহরণকারীদের কাছে একটি ফোন আসার পর রাত সাড়ে ৭টায় আমাকে বাগমারায় ছেড়ে দেওয়া হয়।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কান্নাজড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, “আমি ৩৬ বছর ধরে মনির চৌধুরীর সাথে রাজনীতি করি। ২৫ বছর ধরে বিএনপি করি। শুধুমাত্র গণতান্ত্রিকভাবে সভাপতি পদে ভোট করতে চেয়েছি। এটা কি আমার অপরাধ?”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে অপহরণ করে একতরফাভাবে বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় মাসুদ করিমকে সভাপতি ঘোষণা আমি মানি না। নতুন করে আমি লালমাই উপজেলা সম্মেলন আয়োজনের দাবি জানাই।”
অভিযুক্ত মাসুদ করিম মাসুদ বলেন, “আমি সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন। অপহরণের বিষয়টি সত্য নয়।”
সূত্র:- জনকণ্ঠ অনলাইন
আরো পড়ুনঃ