রাজু কবিরাজের অপচিকিৎসায় পঙ্গু।


স্টাফ রিপোর্টার ।।

রাজু কবিরাজের অপচিকিৎসায় অনেক রোগী পঙ্গু হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আলী নেওয়াজ প্রকাশ রাজু কবিরাজ। লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারস্থ রেলগেইট সংলগ্ন আল আমিন মেডিকেল হলের একাংশে নিয়মিত রোগী দেখেন। চিকিৎসা শাস্ত্রে কোন ডিগ্রী না থাকলেও গত দেড় যুগ ধরে বিশেষজ্ঞ সার্জন সেঁজে হাড় ভাঙ্গা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে বিপুল টাকা হাতিয়েছেন। চেম্বার এলাকায় নিজস্ব ভবনে চালু করেছেন পঙ্গু হাসপাতাল। অনুমোদনবিহীন ওই হাসপাতালে রোগী ভর্তি রেখে চিকিৎসার নামে চলছে অপচিকিৎসা। অপচিকিৎসায় এই পর্যন্ত অনেক রোগী পঙ্গুত্ববরন করেছে। লালমাই উপজেলার বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়নের বলিপদুয়া গ্রামের আবদুল বারেকের বাক প্রতিবন্ধী শিশু পুত্র সফিকুর রহমান একটি দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পায়। ওই সময় চিকিৎসার জন্য রাজু কবিরাজের চেম্বারে নেওয়া হলে তিনি শিশু সফিকের পা প্লাষ্টার করে দেন। প্লাষ্টারে ভুল হওয়ায় কিছু দিন পর সফিকের পায়ে পঁচন ধরলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা হাটু পর্যন্ত পা কেটে ফেলেন।বেতাগাঁও গ্রামের মাওলানা কামালের ভাগিনা মোঃ আমজাদ হোসেনের হাতও রাজু কবিরাজ নষ্ট করে দিয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আলী নেওয়াজ প্রকাশ রাজু কবিরাজ নিজে রোগীর চিকিৎসা দিলেও প্রেসক্রিপশন লিখতে পারেন না। ঔষধের নাম লিখে দেন আল আমিন মেডিকেল হলের মালিক।

অপচিকিৎসার শিকার সফিকুল আলম বলেন, কয়েক মাস আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আমার এক পায়ের একটি হাড় ভেঙ্গেছে। রাজু কবিরাজ পুরো পায়ে প্লাষ্টার করে দেয়। কয়েকদিন পর আমার পুরো পায়ে পঁচন ধরে। পরবর্তীতে আমি একজন হাড়ভাঙ্গা বিশেষজ্ঞ কে দেখাই। ওই চিকিৎসক শতর্ক করে বলেন, আরো এক সপ্তাহ প্লাষ্টার থাকলে পুরো পা পঁচে যেতো এবং পা কেটে ফেলতে হতো। অভিযুক্ত আলী নেওয়াজ প্রকাশ রাজু কবিরাজ বলেন, ডিগ্রী নেই সত্য। তবে আমি অভিজ্ঞতা দিয়ে কাজ করি। হাড় ভাঙ্গার চিকিৎসা করতে হলে অনেক সময় রোগীর থাকার ব্যবস্থা করতে হয়। সেজন্য বাড়ীতে রোগী রাখার ব্যবস্থা করেছি। এটা হাসপাতাল নয়।

     আরো পড়ুনঃ

পুরাতন খবর:

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১