-লালমাই প্রতিনিধি:-
বাকই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র দ্বারা নির্মমভাবে পিটিয়ে মারাত্মক জখম ও আহত করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন পর তিনি মারা যান।
গত সোমবার কুমিল্লায় ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার উপর নির্মম হামলা করা হয়। ভয়াবহ নির্যাতনের এই ঘটনাটি স্থানীয় বাগমারা বাজারের সন্নিকটে সংগঠিত হয়। ধারনা করা হয় রাজনৈতিক সত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী এই জঘন্য ও অমানবিক নির্যাতন পরিচালনা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী তোরাব বলেন, হামলার শিকার হয়ে তিনি যখন চিৎকার করেন তখন আমি সহ আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। আমরা দেখি ওনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন। তরিঘরি করে তাকে আমরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সাথে সাথে তার পরিবারের কাছেও খবর জানানো হয়।
চেয়ারম্যান সাহেবের ছোট ছেলে নেছার উদ্দিন জানান, ঘটনার সাক্ষী স্থানীয় জনগণ প্রথমে তার বাবাকে কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে যান এবং সেখানে তার বাবার অবস্থা শোচনীয় হওয়ায় ডাক্তার ওনাকে শিঘ্রই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন। তারা সেখান থেকে দ্রুত ওনাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। নেছার আরো জানান, তারা কুমিল্লা পৌঁছানোর পথেই তার বাবাকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে যান। পরবর্তীতে তারা ঢাকা মেডিকেলে পৌঁছে তার বাবার করুন পরিস্থিতি দেখতে পান। তারা হাসপাতালে পৌছার পর তার বাবাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় তিন দিন পর আইসিইউতেই তিনি মৃত্যু বরন করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমারজেন্সি বিভাগের ডিউটি ডাক্তার সহকারী অধ্যাপক সোহেল রানা বলেন, ওনাকে এলোপাথারি আঘাত করা হয়েছে। মাথায় ও পিঠে বড় ধরনের মারাত্মক জখমের কারনে তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। আমরা সাধ্যমতো সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ওনাকে সুস্থ করতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওনাকে আমরা বাঁচাতে পারিনি।
লালমাই থানার এস আই বাবুল বলেন, ঘনটার পর পর আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের জিঙ্গাসাবাদ করি । আমরা ঘটনার তদন্ত করছি। আশাকরি খুব শিঘ্রই আমরা আসামীদেরকে সনাক্ত করতে পারবো।
এদিকে হত্যাকান্ডের স্বীকার হওয়া চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের বড় ছেলে মহিউদ্দিন রাসেল মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। বড় ছেলের কারাবরণ করার সপ্তাহ খানেকের মাথায় আচমকা এমন বর্বরোচিত হামলায় নিহত হওয়ায় চেয়ারম্যান শফিকুর রহমানের পরিবারে চলছে শোকের মাতম আর বুকফাটা আর্তনাদ। নিহতের পরিবার, আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ইউনিয়নবাসীর এক দাবি, অচিরেই শফিকুর রহমানের হত্যার সাথে জড়িত সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোড় দাবি জানান।
আরো পড়ুনঃ