নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার তিন সাংবাদিকের পক্ষে রায়/সিদ্ধান্ত দিলেন তথ্য কমিশন। সিদ্ধান্ত পত্র নং-২৪/২০২১। যাদের পক্ষে তথ্য কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে তারা হলেন দৈনিক সমাজ কন্ঠ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও লালমাই প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক কাজী মাসুদ রানা, দৈনিক কুমিল্লার কাগজ পত্রিকার লালমাই উপজেলা প্রতিনিধি ও লালমাই প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক প্রদীপ মজুমদার, দৈনিক বাংলাদেশের আলো লালমাই উপজেলা প্রতিনিধি ও লালমাই প্রেস ক্লাবের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ। প্রতিপক্ষ ছিলেন লালমাই উপজেলার ৫নং পেরুল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব দিলীপ সিংহ। তথ্য কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিগত ০৮-০৯-২০২০খ্রিঃ তিন সাংবাদিক ইউপি সচিব দিলীপ সিংহ এর নিকট “২০১৩-১৪ অর্থবছর থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত এলজিএসপি ও ১% প্রকল্পে যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে সেসকল প্রকল্পের নাম-ঠিকানা ও অর্থ বরাদ্দের পরিমাণসহ তালিকা” পাওয়ার জন্য ডাকযোগে আবেদন করে। নির্ধারিত সময়ে তথ্য না পেয়ে তিন সাংবাদিক গত ২৫-১০-২০২০খ্রিঃ উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসারের নিকট আপীল আবেদন দায়ের করে। আবুল বাসার চেয়ারম্যান কোন নির্দেশ না করায় গত ২৪-১১-২০২০খ্রিঃ কুমিল্লা জেলার জেলা প্রশাসক বরাবর রি-আপীল আবেদন দায়ের করে তিন সাংবাদিক। গত ০৪-০১-২০২২খ্রিঃ তথ্য কমিশন জুম এর মাধ্যমে শুনানী করেন। শুনানী শেষে তথ্য কমিশন প্রায় ২বছর আটক রাখা তথ্য প্রদান করতে ইউপি সচিব দিলীপ সিংহকে নির্দেশ প্রদান করে। সিদ্ধান্তপত্র প্রদান করেন তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবুল বাসার একজন খারাপ প্রকৃতির লোক, ১% সরকারী রাজস্ব দিয়ে নিজ বাড়ির পুকুরে খাটলা নির্মাণ করে। তিন সাংবাদিকের চাহিত তথ্য আবুল বাসার প্রভাব খাটিয়ে আটক রাখেন কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। জনস্বার্থে প্রকল্পের নাম-ঠিকানা ও অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েব সাইটে দেওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এব্যাপারে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি শাহ মোঃ আলমগীর খান ইউনিয়ন পরিষদের বিরুদ্ধে তথ্য কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তা সকল ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের জন্য লাল সংকেত, তথ্য আটক রাখার সুযোগ নাই।
আরো পড়ুনঃ