সিরাজগঞ্জের তাড়াশ তথা বৃহত্তর চলনবিল অঞ্চলের দিঘরিয়া ক্ষীরার আড়তে এক টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ক্ষীরা। আর স্থানীয় হাট-বাজারে খুচরা ৩/৪ টাকায়। ক্ষীরার এমন দাম নিয়ে একেবারে নিরাশ হয়ে পড়েছেন চাষিরা। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ বছর শুধু তাড়াশেই ৪৪০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার আবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় ফলনও আশাতীত।
সরেজমিনে দিঘরিয়া ক্ষীরার আড়তে দেখা যায়, পার্শ্ববর্তী সিংড়া, গুরুদাসপুর, রায়গঞ্জ ও চাটমোহর উপজেলার চাষিরাও ক্ষীরা নিয়ে আড়তে এসেছেন। যাদের অনেকে এক টাকা কেজি বিক্রি না করে রাস্তায় ক্ষীরা ফেলে প্রতিবাদ করছেন। এ সময় চাষিরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বেশ ক’জন ক্ষীরাচাষি বলেন, একবিঘা জমিতে ক্ষীরার চাষ করতে সবমিলিয়ে ২০/২২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। ক্ষুদ্র বর্গাচাষিরা প্রতিবিঘা জমি ১০/১২ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আবাদ করায় তাদের খরচ তুলনামূলক বেশি হয়েছে। চাষিরা আরো বলেন, গতবছর সর্বনিম্ন ২৫০/৩০০ টাকা মণ ক্ষীরা বিক্রি করেছেন। আর এ বছর মাত্র ৪০ টাকা মণ। উৎপাদন ব্যয় তো দূরের কথা, পরিবহন খরচ না জোটায় অনেক চাষি তাদের ক্ষীরার জমি ভেঙে বিকল্প আবাদের চেষ্টা করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুল নাহার লুনা জানান, ক্ষীরাচাষিরা ভালো ফলন পেয়েও দাম কম হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে ক্ষীরার জমি নষ্ট না করে তিনি চাষিদের কয়েকদিন ধৈর্য ধরার মরামর্শ দেন।
আরো পড়ুনঃ