-আবু সুফিয়ান রাসেল, কুমিল্লা:
মহামারি করোনা সংকটে কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা। এতে খুশি জেলার সাধারণ মানুষ। কুমিল্লায় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এ সেবা প্রধান করা হচ্ছে। নির্ধারিত নম্বরে মোবাইল কলের মাধ্যমে নাম, বয়স ও সমস্যা জানালে সাথে সাথে চিকিৎসক তার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা প্রেরণ করে ঔষধের নাম বলে দেন, অথবা মোবাইলে তার সমাধান বলে দেন। যারা পড়তে-লিখতে পারেন না, তারা নিকটস্থ ফার্মেসীতে গিয়ে কল দিলে, চিকিৎসক দোকানীকে ঔষুদের নাম বলে দেন। এসব কারণে কুমিল্লায় জনপ্রিয় হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেবা।
সূত্র জানায়, জেলা সরকারি হাসপাতাল ও চিকিৎসকেরদ সংগঠনগুলো ডেলিমেডিসিন সেবায় চালু করেছে হট লাইন নাম্বার। এদের মধ্যে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে ৫টি, কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ৩টি, জেলার ১৭টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করে, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) জেলার শাখা উদ্যোগে ১০টি, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ১০টি, ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) ১০টি হট লাইন নম্বর চালু করেছে। এছাড়া বেশ কয়েটি বেসরকারি হাসপাতালও এ সেবা চালু করেছে। ফলে বাসা-বাড়িতে থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে স্বাস্থ সেবা পাচ্ছেন জেলার সাধারণ মানুষ।
নগরীর বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল কাউছার বলেন, হট লাইনের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসেই স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছি। এতে বাহিরে বের হওয়ার স্বাস্থ্য ঝুঁকিও থাকছে না। তাছাড়া এতে যাতায়াত খরচের সাথে সাথে সময়ও বাঁচে। আবার চিকিৎসক প্রয়োজন মনে করলে ভিডিও কলেও সেবা দিচ্ছেন । এতে চিকিৎসক রোগীর সমস্যা বুঝে সহজেই ওষুধ দিতে পারেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ডা. মুজিবুর রহমান জানান, টেলিমেডিসিন চালুর পর যথেষ্ট সাড়া পেয়েছি। প্রথমে একটা হেল্প লাইন ছিলো। ওই সময়ে অনেক কল অপেক্ষায় রাখতে হতো, রোগীদের কথা বিবেচনা করে আমরা আরও চারটি নম্বর বৃদ্ধি করেছি। আর এ সেবা চালুর পর বর্হি:বিভাগে রোগী কমেছে। সাধারণ সময়ে গড় ১৮শ টিকিট বিক্রি হতো। বর্তমানে তা ৫-৭শ এর মধ্যে থাকে। সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
জেলা সিভিল সার্জন মো. নিয়াতুজ্জামান বলেন, সদর হাসপাতালে তিনটি ও ১৭ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ একটি করে টেলিমেডিসিন নম্বর চালু আছে। ২৪ ঘণ্টা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ ছাড়া বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান, সংগঠন টেলিমেডিসিন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথাসহ যে কোন স্বাস্থ্য বিষয়ে বিনামূল্যে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদি কোন রোগীর সমস্যা বেশী মনে হয়, নিকটস্থ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বলা হয়। যদি করোনার কোন উপসর্গ পরিলক্ষিত হয়, মেডিকেল টিম তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করেন।
আরো পড়ুনঃ